আজ রবিবার (১৫ই অক্টোবর-২৩)–ঘরে অনেক কাজ কাল থেকে শুরু হবে আবার যুদ্ধ। বসে ভাবছি কোন কাজটি আগে শুরু করবো। বাইরে বৃষ্টি এরকম আবহাওয়ার একটা কেমন যেন অলস অলস ভাব হয়। এমন সময় ফোন বেজে উঠল এক পরিচিত ভাবী ফোন দিয়েছে। হ্যালো বলতেই অপর পাশ থেকে ভাবী বলে উঠলেন দেশের খবর কিছু রাখেন ? আমি ভয় পেয়ে গেলাম ভাবলাম ভূমিকম্প হয়ে মনে হয় সব শেষ। আমার প্রায়ই ভয় হয় ভূমিকম্প হয়ে দেশ তলিয়ে যাবে, কারন বাংলাদেশের মানুষের ভূমির প্রতি কোন মায়া নেই? চারদিকে শুধু গারবেজ প্রকৃতির প্রতি অনাচার। চিন্তিত হয়ে বললাম না –কি হয়েছে? ওনি বললেন নির্বাচন– শুনে বললাম তাতে আপনার কি সমস্যা আপনি তো দেশে থাকেন না ভোটও দিবেন না। ওনি বলে উঠলেন — না ভাবী আপনি তো আমার সমস্যা বুঝলেন না। তারপর এক নাগারে বলে চললেন– ভাবী দেশে নির্বাচন আসলে আমার ভাল লাগে না। জাতীয় নির্বাচন আসলে শাকিব খানের একটা করে বউ আর বাচ্চা পয়দা হয়, নায়ক নায়িকা-গায়ক-গায়িকাদের প্রেম প্রীতি, পরকীয়া ডিভোর্সের হিরিক পরে যায়, কখনও মিথিলা কখনও পরিমনি। এখন আবার ক্রিকেটের শাকিব তানিম নাটক এসব নিয়ে আমাদের সাংবাদিক সমাজ এত ব্যস্ত থাকে যে, জাতীয় সমস্যার প্রতি নজর দিতে পারেন না। আমি বললাম তাতে আপনার কী ? ওনি বললেন আমার কী মানে ? আমার স্বামী প্রতিদিন ঘুমাবার আগে এসব নিয়ে ফোনে কথা বলে, বলতে বলতে উত্তেজিত হয়ে যায়– তখন তার মুখ থেকে থুতু বের হয়ে আমার গায়ে এসে পরে। এখন বুঝলেন আমার কী? আমি বললাম আপনার সমস্যা বুঝতে পেরেছি থুতু যাদের গায়ে যাবার কথা, তাদের গায়ে না গিয়ে আসছে আপনার গায়ে –অনেক কঠিন সমস্যা। ওনি বললেন ঠিক ধরেছেন, কি করা যায় একটা পরামর্শ দিন। ওনি কথা বলেই চলেছেন। আমি বাইরে বৃষ্টি দেখছি। বৃষ্টি এল কাশ বনে, –জাগলো সারা ঘাস বনে, বকের সারি কোথায় রে, –লুকিয়ে গেল বাঁশবনে। গায়ের নামটি ৃহঠাৎ মনে হল আমার জন্ম শহর চাঁদপুরের কথা, সেখানে খোলা চুলে বারান্দায় বসে আমার সেজদি কিছু হয়ত ভাবছে। আজ তার জন্মদিন তাকে শুভেচ্ছা জানাতে হবে। ফোন রেখে দিলামা। শুভ জন্মদিন নিরু আপু –আজ এই বৃষ্টির স্নিগ্ধতা শুধু তোমার জন্য– ড. নুরুন নাহার বেগম, সহযোগী অধ্যাপক (শিক্ষা), ইস্ট স্ট্রাউন্ডসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়, পেনসেলভেনিয়া, আমেরিকা।