স্টাফ রিপোর্টারঃ চাঁদপুর সদরের বড় শাহতলীতে সরকারি রাস্তার পাশে থাকা কয়েকটি গাছ কর্তন করা হলেও নেওয়া হচ্ছে না কোনো প্রকার প্রশাসনিক ব্যবস্থা। এতে জনে মনে সমালোচনার ঝড় বইছে।
সম্প্রতি ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের খন্দকার বাড়ির দক্ষিণে পুরাতন ইউনিয়ন পরিষদের সামনের পাকা রাস্তার পাশ থেকে কয়েক হাজার টাকার বেশ কয়েকটি গাছ কাটা হয়। এছাড়াও পুরাতন ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি বহু গাছ কর্তন করে নিয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই সকল গাছ কাটার সাথে জড়িত ছিলেন ভড়ঙ্গারচর গ্রামের বেপারী বাড়ির মোঃ ছলেমান বেপারীর বড় ছেলে মোঃ মালেক হোসেন মুন্না (৪৫), বড় শাহতলী গ্রামের খন্দকার বাড়ির মৃত খন্দকার নুরুল হকের ছেলে খন্দকার শাহিদুল আলম মাহফুজ (৫৮)।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো প্রকার ব্যবস্থা নেননি প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। এতে জন মনে নানা প্রশ্ন বিরাজ করছে। সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার পরেও প্রশাসন কেন নিরব?
এছাড়া স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে জানা যায় বলে উল্লেখ করেন, স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ বিল্লাল খান তার তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগ অনুযায়ী ঘটনাস্থলে অপ্রাপ্ত গাছ কাটার প্রমাণ পাওয়া গেলেও গাছ কর্তনকারীকে সনাক্ত করা যায় না।
কিন্তু এ বিষয়ে ইউপি মেম্বার বিল্লাল হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার কাছ থেকে যে প্রতিবেদনটি নিয়েছে সেটি অফিসিয়াল না। আমি পরবর্তীতে যাচাই-বাছাই করে জানতে পারি সেখানে বেশ কয়েকটি প্রাপ্তবয়স্ক গাছ কাটা হয়েছে। এখন আমি অফিসিয়াল প্রতিবেদন দাখিল করবো।
গাছ কর্তনকারীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান নান্টু পাটোয়ারী জানান, আমি এই বিষয়ে ইউপি মেম্বারকে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলেছি। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।