স্টাফ রিপোর্টারঃ চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার ৬ নং উপাদী ইউনিয়নের করবন্দ ৯ নং ওয়ার্ডের আরশাদ উল্লাহর ছেলে প্রবাসী মোঃ মোস্তফা মিয়ার ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে নির্মিত মার্কেট ও বসতি স্থাপনার ওপর হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে প্রতিপক্ষ জুলহাস (৪৩), হাসান (৫০), শাহাদাত (৩৫), জসিম (৪৫), সর্ব পিতা- মনু মাল, নেয়ামত আলী (৬৫) পিতা – ওয়াদ আলী মুন্সী, মানিক মুন্সী (৫৫) পিতা – উঁচু মুন্সী,শাহ মাহমুদপুর ইউনিয়নের লোদেরগাঁও গ্রামের হাজী বাড়ির সোবহান (৫৫) ও রোকন (৩৮) সহ তাদের বিরুদ্ধে এবং অন্য স্থান থেকে আসা ভাড়াটিয়া লোকজন দ্বারা নির্মাণাধীন মার্কেট ভাংচুর এবং স্বর্ণলংকার লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল ১ নভেম্বর, মঙ্গলবার আনুমানিক ভোর ৬ টায় ৯ নং ওয়ার্ড কোরবন্দ গ্রামে। এতে তিনজন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন মেহেরুল্লাহ মিজির ছেলে মাইনুদ্দিন (৪২), আরশাদ উল্লাহ মিজির ছেলে দিদার মিজি (২৮) এবং আরশাদ উল্লাহর বৃদ্ধ স্ত্রী জাহানারা বেগম (৬০)। আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন।
জানা যায়, প্রবাসী মোহাম্মদ মোস্তফা মিয়া সাবেক ২২৩ নং হাল ২৪১ নং করবন্দ মৌজার সাবেক ১০১ নং এস.এ ১১৮ নং বি.এস চূড়ান্ত ৭১৭ নং খতিয়ানের সাবেক ১২০৮ দাগের হাল বি.এস ২২৬৬৩ দাগে নাল মোট ৫৪ শতাংশ ভূমির মধ্যে নাল মোট ১০ সতাংশ ভূমি সৈয়দ আহমদ তফাদার এবং নুরুল আমিন ওরফে নুরুল ইসলাম উভয় হতে সমান অংশে বিগত ২৮/৯/২০২০ ইং তারিখে ২৮৮৬ নং সাব কবলা দলিল মূলে ক্রয় করেন। কিন্তু সৈয়দ আহম্মদ তফাদার এবং নুরুল আমিন তফাদারের বিকৃত ভূমি তাদের সহদর ভাই হেলাল উদ্দিন নিজের দাবি করে বলে প্রবাসী মোহাম্মদ মোস্তফা মিয়ার স্থাপনাসহ দখলকৃত সম্পত্তিতে বাধা বিঘ্ন সৃষ্টি করে আসছে। সেই থেকে হেলাল উদ্দিন তপাদার প্রবাসী মোস্তফা মিয়ার অনুপস্থিতে তার বৃদ্ধ পিতা আরশাদ উল্লাহকে বিবাদী করে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট চাঁদপুর আদালতে ফৌ: কা: বি: আইনের ১৪৫ ধারায় ১০৭১/২০ নং মামলার দরখাস্ত এবং মিছ মামলা নং ১১/২২ দায়ের করেন। কিন্তু বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ১৯/৯/২০২২ ইং তারিখে সার্বিক বিবেচনায় মামলাটি নথিজাত করার জন্য চাঁদপুর আদালতকে আদেশ প্রদান করেন।
এছাড়া জানা যায়, ঘটনা ঘটার সময় বেশ কয়েকজন গিয়ে মার্কেটের দেয়াল সার্টার ভাংচুর করে, এ সময় মোস্তফার মা বাঁধা দিতে গেলে তাকে মারধর করে তার সাথে থাকা স্বর্ণালঙ্কার অভিযুক্তরা লুট করে নিয়ে যান বলে তারা জানান, এ ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ৯৯৯ নাইনে ফোন করলে মতলব দক্ষিন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরির্দশন করে ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করেন।
আরো জানা যায়, মোস্তফা এ সম্পত্তি ক্রয় করার পর, এ সম্পত্তি নিয়ে হেলাল তপদার আরশাদ উল্ল্যাহকে বিবাদী করেন মামলা দায়ের করলে, সে মামলার রায় ও মোস্তফার পক্ষে আসে, বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার স্থানীয় ভাবে বসা হয়, কিন্তু কোন লাভ হয়নি, আদালতের রায়, স্থানীয়দের মিমাংসাকে হেলালগং তোয়াক্কা না করে আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা দেখিয়ে মোস্তফার নব নির্মিত মার্কেট ভাংচুর করে তারা, রায়ের পর মোস্তফা তার সম্পত্তিতে মার্কেট করেন। কিন্তু কোন অদৃশ্য ঘুটির জোরে হেলালগং ফিলিমি কায়দায় নব নির্মিত মার্কেট ভাংচুর করে দখলের চেষ্টা করে সামনে বেড়া দিয়ে আসেন। সন্ত্রাসীদের আতঙ্কে স্থানীয় কেউ এগিয়ে আসেন না, শুধু দূর থেকে ভাঙচুরের দৃশ্য দেখছেন বলে স্থানীয়রা জানান।
ক্ষতিগ্রস্ত মোস্তফার পরিবার জানান, কয়েক বছর পূর্বে এ সম্পত্তি ক্রয় করে আমরা ভোগ দখলে থাকি, হঠাৎ করে হেলাল গং এ সম্পত্তি নিয়ে আমাদের সাথে দ্বন্দ্ব বাঁধে, আমাদের নামে মামলা করে, সে মামলার রায়ও আমাদের পক্ষে আসে। আমরা আমাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে ভরাট করে দোকান নির্মাণ করি, কোন কথাবার্তা ছাড়াই একদল সন্ত্রাসী নিয়ে মঙ্গলবার সকালে মার্কেটের দেয়াল শার্টার ভাঙচুর করে।
মোস্তফার মা জানান সন্ত্রাসীরা আমাকে ব্যাপক মারধর করে আমার গায়ে থাকা স্বর্ণ লুট করে নিয়ে যায়, আমি ডাক চিৎকার দিলে, এলাকাবাসী ছুটে আসে,ততক্ষণে তারা মার্কেট ভাঙচুর করে চলে যায়।
এদিকে ক্রয়সূত্রে মালিক দাবীদার মহসিন মিজির বড় ভাই হাসান মিজি জানান, উক্ত সম্পত্তি দলিল ও খতিয়ান মুলে হেলাল তপদার মালিক হয়ে আমার ভাই মহসিন মিজির কাছে এক বছর পূর্বে বায়না দলিলে বিক্রি করে। তিনি (হেলাল তপদার) তার বিক্রিকৃত সম্পত্তি গত ৩১অক্টোবর সোমবার সকালে মহসিন মিজিকে দলিলে রেজিস্ট্রি করে গতকাল ১নভেম্বর মঙ্গলবার সরে জমিনে ভোগ দখন বুঝিয়ে দিয়েছেন।