স্টাফ রিপোর্টার: চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার ৫নং উপাদী উত্তর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার রফিকুল ইসলাম খোকন মাস্টার নিজস্ব অর্থায়নে এলাকাবাসীর সহযোগীতায় প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করেন।জনকল্যাণমূলক এই রাস্তাটি বোয়ালিয়া বাজারের একটু পূর্ব পাশে মরহুম আব্দুর রহিম মাস্টারের চৌরাস্তার মোড় হতে শুরু হয়ে শান্তিনগর বাজারে গিয়ে মিলিত হয়েছে।
এই রাস্তা নির্মান হওয়ায় ৩০-৩৫ টি বাড়ীর জনগন দীর্ঘদিন যাবত স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে প্রত্যাশা করে আসছেন। সরকারিভাবে কোন প্রকল্প না পাওয়ায় সদ্য নির্বাচিত ইউপি সদস্য খোকন মাষ্টার রাস্তাটি জনগুরুত্বপূর্ণ বিধায় চেয়ারম্যানের পরামর্শক্রমে নিজস্ব অর্থায়নে রাস্তাটি নির্মাণ করে দেন। ফলে ৩০-৩৫ টি বাড়ীর সহস্রাধিক জনগন দীর্ঘদিনের জনদুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেলেন।
জনগুরুত্বপূর্ন রাস্তাটি দিয়ে এলাকার ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়ার জন্য স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় প্রতিনিয়ত এই পথে চলাচল করে থাকে। এমনকি বোয়ালিয়া বাজার ও শান্তি নগর বাজারের সাথে সংক্ষিপ্ত সংযোগ স্থাপন করায় প্রতিদিন সহস্রাধিক মানুষ এরাস্তা দিয়ে চলাচল করে থাকে।এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে বোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বোয়ালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, বোয়ালিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মারকাযুল কুরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানা ঐতিহাসিক বোয়ালিয়া বাজারে অবস্থিত।
এলাকাবাসী জানায়, এই রাস্তা নির্মান হওয়ায় আমাদের গ্রামের শত শত মানুষের অনেক উপকার হয়েছে। আমাদের বাড়ী থেকে যাতায়াতের কোন রাস্তা ছিল না। বিভিন্ন বাড়ীর উপর দিয়ে চলাচল করতে হতো, এমনকি বর্ষার মৌসুমে হাটু পানি দিয়ে যাতায়াত করতে হতো। বর্তমানে রাস্তাটা নির্মান করায় সুন্দরভাবে যাতায়াত করতে পারছি। বিশেষ করে আমাদের ছেলেমেয়েরা স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় যেতে অনেক অসুবিধা হয়েছে। এই রাস্তাটা ছিল আমাদের প্রাণের দাবি। অনেক চেয়ারম্যান মেম্বারকে বলা হলেও, তারা বরাদ্দ না পাওয়ায় রাস্তাটি তৈরি করতে পারেনি। বর্তমানে এই ওয়াার্ডের মেম্বার রফিকুল ইসলাম খোকন মাস্টার এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তার নিজস্ব অর্থায়নে রাস্তাটি নির্মান করেছেন।
এবিষয়ে ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ রফিকুল ইসলাম খোকন মাস্টার জানান, মরহুম আব্দুর রহিম মাস্টারের চৌরাস্তার মোড় থেকে শান্তিনগর বাজার পর্যন্ত রাস্তাটির দৈর্ঘ্য দুই কিলোমিটার। এখানে পূর্বে কোন রাস্তা ছিল না। এলাকায় হাই স্কুল, গার্লস স্কুল, প্রাইমারি স্কুল, পোস্ট অফিস, মসজিদ, মাদ্রাসা ও একটি বাজার অবস্থিত। এপথে অনেক দূরদূরান্ত থেকে ছাত্র-ছাত্রী ও জনসাধারন যাতায়াত করে থাকে। অত্র এলাকার জনগনের দীর্ঘ ২০-৩০ বছরের যাতায়াতের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করেই মূলত রাস্তাটি নির্মান করেছি। আমি মোটামুটি রাস্তাটি চলাচলের মতো করেছি, কিন্তু এখনও পূর্ণাঙ্গ কাজ করতে পারিনি। কারণ এখানে সরকারি কোন বরাদ্দ নেই। বর্তমানে রাস্তাটির মূল সমস্যা হল কিছু কিছু স্থানে গর্ত ও পুকুর থাকায় গাইডওয়াল দেয়া প্রয়োজন। রাস্তারটির বিভিন্ন স্থানে উঁচু-নিচু আছে, এগুলো ভরাট করতে হবে। আমি যেন রাস্তাটি সফলভাবে শেষ করতে পারি। এই রাস্তা দিয়ে এলাকার জনগন যাতে স্বচ্ছন্দে চলাচল করতে পারে। সেলক্ষ্যে রাস্তাটির পূর্নাঙ্গ রুপ দানে আমি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।




