স্টাফ রিপোর্টার: চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের শাহতলী গ্ৰামে সরকারি অনুমতি ছাড়াই চলছে ফসলি জমিতে এস্কেভেটর (ভেকু) দিয়ে পুকুর খননের কাজ। ফলে পাশের কৃষকের ফসলি জমির দীর্ঘমেয়াদি ফসল উৎপাদনের মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
এদিকে সরকারি বিধিমোতাবেক, কৃষি জমিতে পুকুর খনন করা যাবে না। ক্ষেত্র বিশেষে পুকুর খননের প্রয়োজনীয়তা থাকলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে পুকুর খনন করা যাবে। কিন্তু এখানে এসবের কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করা হচ্ছে না।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের শাহতলী গ্ৰামের বাসিন্দা মৃত খন্দকার হাফেজ মিয়ার ছেলে খন্দকার আমিনুল হক মোহন (৬০) খন্দকার বাড়ির পশ্চিম পাশে প্রায় দেড় একর ফসলি জমিতে এস্কেভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে মাটি কেটে করছেন পুকুর খনন। সেখানে মাটি বহন করছে ২টি নিষিদ্ধ ট্রাক্টর গাড়ি।
এছাড়াও বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০-এর ধারা ৫-এর ১ উপধারা অনুযায়ী, পাম্প বা ড্রেজিং বা অন্য কোনো মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। আইন অমান্যকারী দুই বছরের কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের নজর এড়িয়ে প্রতিনিয়ত সমাজের কিছু অসচেতন এবং অর্থশালী ব্যক্তিদের দ্বারা নষ্ট হচ্ছে ফসলের জমি।
পুকুর খননকারী খন্দকার আমিনুল হকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন ফসলি জমিটি আমার। আমার জমিতে আমি পুকুর খনন করছি।
সকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ হেদায়েত উল্যাহ বলেন, আমি এ বিষয়ে অবগত নই। তবে এ বিষয়ে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করবো।




