স্টাফ রিপোর্টার: চাঁদপুরে আধুনিক নৌ-বন্দর নির্মান স্থানে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে চেক প্রদান করা হয়েছে। এসময় ৭৪জন ব্যবসায়ীকে ক্ষতিপূরন হিসেবে ৯০ লাখ ২৯ হাজার ৯১৯ টাকার চেক প্রদান করা হয়।
বুধবার দুপুরে শহরে বাগাদী রোডে বাংলাদেশ আভ্যন্তরীন নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ এষ্টেট রেষ্ট হাউজে ক্ষতিগ্রস্থদের হাতে এসব চেক তুলে দেন প্রধান অতিথি যুগ্ম সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ’র সদস্য (প্রকৌশলী) ড. এ. কে. এম. আজাদুর রহমান।
প্রধান অতিথি বলেন, উন্নয়নের জন্য আমাদেরকে পরিবর্তন হতে হবে। সরকারের কাজে সকলকে সহযোগিতা করতে হবে। আজকে যারা ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী আপনারাও এই উন্নয়নের অংশীদার। আপনাদেরকে উচ্ছেদ নয়, প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছেন। আমরা সকলে হলাম সেই স্বপ্নের সোনার বাংলার একজন কর্মী। বিআইডব্লিউটিএ’র কাজ হলো নরসুন্দরের মতো। মানে যেখানে নদীতে চর পড়েছে, সৌন্দর্য নষ্ট হয়েছে তা ফিরিয়ে আনা। দেশের যেকোন বড় ধরনের উন্নয়ন কাজে প্রথমে যারা সম্পদ, অর্থ ও বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেন, তারা স্মরনীয় হয়ে থাকেন। চাঁদপুর নামে জনপদ কেন পরিচিত। তা হচ্ছে চাঁদপুরের নদী ও ইলিশ। চাঁদপুরের নদীগুলোকে আপনাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও আধুনিক নৌ-বন্দর নির্মান কাজের প্রকল্প পরিচালক মোঃ আইয়ুব আলীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওসমান গনি পাটোয়ারী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ.এস.এম মোসা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াসির আরাফাত। নৌ-বন্দর নির্মাণ কাজের প্রকল্প পরিচালক মো: আইয়ুব আলী জানান, ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা চেক প্রাপ্তির এক সপ্তাহের মধ্যে বর্তমান স্থান ত্যাগ করতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শানজিদা শাহনাজ, প্রেসক্লাব সভাপতি এ.এইচ.এম.আহসান উল্যাহ, পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিয়াছ, কাউন্সিলর মোঃ সফিকুল ইসলাম।
বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “বাংলাদেশ আঞ্চলিক নৌ-পরিবহন প্রকল্প-১” শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে চাঁদপুরে আধুনিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল নির্মাণ কাজ খুব শিঘ্রই শুরু হবে। সেলক্ষ্যে নির্মাণ কাজ শুরুর পূর্বেই ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের এই অর্থ দেয়া হয়েছে।




