স্টাফ রিপোর্টারঃ চাঁদপুর সদর উপজেলার ৪ নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড লোধেরগাঁও গ্রামের চেয়ারম্যান মার্কেটের সামনে খোরশেদ আলমের থামানো মটরবাইকে প্রাইভেটকার চালক সোহাগ গাজী তার গাড়ি দিয়ে সজোরে ধাক্কা দেয়। কেনো ধাক্কা দিয়েছে তা জিজ্ঞেস করায় খোরশেদ আলমের উপর প্রাইভেটকার চালকসহ আরো তিন চার জন মিলে অতর্কিত হামলা করে। এতে খোরশেদ আলম গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে আশপাশের লোকজন উদ্ধার করিয়া চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার চিকিৎসা প্রদান করেন। এমনটাই অভিযোগ মোটর বাইক চালক খোরশেদ আলমের।
গত ১৮ আগস্ট, শুক্রবার রাত সাড়ে দশটায় শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের লোধেরগাঁও গ্রামের কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে চেয়ারম্যান মার্কেটের সামনে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
মোটরবাইক চালক খোরশেদ আলম (৩৬), আশিকাটি ইউনিয়নের হাপানিয়া গ্রামের মৃধা বাড়ির সিদ্দিক মৃধার বড় ছেলে। অপরদিকে হামলাকারীরা হলেন শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের লোধেরগাঁও গ্রামের বিল্লাল গাজীর ছেলে ১। সোহাগ গাজী (১৯), সফি উল্লাহ গাজীর ছেলে যথাক্রমে ২। সজীব গাজী (২৮), ৩। সাজিদ গাজী (১৯), মোবারকের ছেলে ৪। জাহিদ (১৯)।




এ বিষয়ে ভুক্তভোগী খোরশেদ আলম বলেন, গত ১৮ আগস্ট শুক্রবার রাত সাড়ে দশটার সময় আমার প্রয়োজনীয় কাজে আমার মোটরসাইকেল যোগে লোধেরগাঁও চেয়ারম্যান মার্কেটে যাই।পরে প্রাইভেটকার চালক তার গাড়ি দিয়ে ইচ্ছাকৃত ভাবে আমার মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলিয়া মোটরসাইকেল ভাংচুর করিয়া আনুমানিক ২০,০০০ টাকা ক্ষতিসাধন করে। আমি প্রতিবাদ করিলে প্রতিপক্ষরা আমার উপর ক্ষিপ্ত হইয়া আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করিয়া আমাকে এলোপাথাড়ি কিল, ঘুষি মারিয়া এবং হাতুড়ি ও ইট দিয়া আঘাত করিয়া আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে। আমার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ও মোঃ শাহাদাত মিজি,মোঃ কবির মিজি,মোঃ আরিফ হোসেন সহ আরো স্বাক্ষীগন আসিয়া আমাকে প্রতিপক্ষ হামলাকারীদের কবল হইতে রক্ষা করে। হামলাকারীরা ওই সময় সাক্ষীদের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে বলিতে থাকে যে, আমি উক্ত বিষয়ে কোন প্রকার আইনের আশ্রয় নিলে আমাকে সুযোগ মত পাইলে প্রাণে হত্যা করিয়া লাশ গুম করিবে বলিয়া হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে আশপাশের লোকজন আমাকে উদ্ধার করিয়া চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার চিকিৎসা প্রদান করেন। এখন হামলাকারীদের দ্বারা ভবিষ্যতে আমার বড় ধরনের ক্ষতির আশংকা বিদ্যমান রয়েছে। আমি চাঁদপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছি। তাই আমি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।




