চাঁদপুর প্রতিনিধি ॥ চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেছেন, আজ বৃহস্পতিবার থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ ধরায় সরকার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। এসময় যেসব জেলে অবসর থাকবেন তাদের জন্য খাদ্য সহায়তা হিসেবে সরকার ২৫ কেজি করে চাল বরাদ্ধ করেছে। যেসব জেলে আইন অমান্য করে নদীতে নেমে মা ইলিশ ধরবেন, তাদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি জেলে কার্ড বাতিল করা হবে। যাতে ওই জেলে পরবর্তী বছর সরকারের কোন সুযোগ সুবিধা না নিতে পারে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের বড় স্টেশন মোলহেড বঙ্গবন্ধু পর্যটন কেন্দ্রে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়নে সচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
তিনি বলেন, জেলেরা যদি সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে চলে, তাহলে আমাদের কঠোর হতে হবে না এবং আইন প্রয়োগ করা লাগবে না। আমাদের পরিকল্পনা এবছর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশসহ সকলে সর্বোচ্চ কঠোর ব্যবস্থা নিব। গত বছর জাটকা ও মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে বহু জেলেকে আটক ও জেল-জরিমানা হয়েছে। এবছর কোস্টগার্ডকে বলেছি মতলব উত্তর উপজেলায় একটি অস্থায়ী ক্যাম্প খুব শিঘ্রই স্থাপন করা হবে। হাইমচর মৎস্য বিভাগ নতুন স্পীড বোর্ড পেয়েছে। এখন অভিযানে জনপ্রতিনিধিরাও সম্পৃক্ত হবেন।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: গোলাম মেহেদী হাসান এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, স্থলপথে পরিবহন অবস্থায় ও বাজার-আড়তে বিক্রি করতে পাওয়া যাবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। চাঁদপুর নৌ পুলিশ অঞ্চলের এসপি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, বিগত ৩বছর প্রত্যেক অভিযানে জেলেরা নদীতে নামবে না বললেও, পরবর্তীতে তারা দলে দলে নেমে মাছ ধরে। আইন অমান্য করে জেলার বাহির থেকেও জেলেরা আসে। তারা আমাদেরকে শত্রু মনে করেন, মারমুখি হয়ে পুলিশ সদস্যদের ওপর আক্রমন করে। বিগত অভিযানে আমাদের ৩জন সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। আমি আশা করবো আপনারা সকলে মিলে এবারের অভিযান সফল করতে সহযোগিতা করবেন।
হাইমচর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো: মাহবুবুর রশীদ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, -চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিয়াছ, সিনিয়র মৎস্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রুমানা ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর সফিকুল ইসলাম, মৎস্যজীবি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক দেওয়ান, শাহ আলম মল্লিক ও তছলিম বেপারী প্রমূখ।
সভা শেষে অতিথিরা মোলহেড থেকে একটি নৌ র্যালী তিন নদীর মোহনা ও আশপাশের এলাকা টহল দিয়ে একই স্থানে এসে শেষ হয়।




