স্টাফ রিপোর্টার: চাঁদপুরে এক কলেজ শিক্ষার্থীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিশ্বনাথ চন্দ্র দাস (৩৪) নামে যুবককে আদালত ১৪ বছরের সশ্রম কারাদান্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো: আব্দুল হান্নান এই রায় প্রদান করেন।
অপরহণ ও ধর্ষণের শিকার ওই কলেজ শিক্ষার্থীর বাড়ি কচুয়া উপজেলায়। সে পার্শবর্তী মতলব দক্ষিণ উপজেলার একটি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে অধ্যয়নরত ছিলেন।
কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামী বিশ্বনাথ চন্দ্র দাস ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার বাঞ্চারামপুর থানার দড়িয়া দৌলত মুল্লক গ্রামের মতিলাল চন্দ্র দাসের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামী তার কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে ২০১৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ওই শিক্ষার্থীর চলার পথ থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজে না পেয়ে মতলব দক্ষিণ থানায় ২৮ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ ডায়েরী করেন। এরপর ৯ অক্টোবর অপহৃতা শিক্ষার্থী তার চাচার কাছে ফোন করে জানায় বিশ্বনাথ চন্দ্র দাস তার সহযোগীদের নিয়ে বাড়িতে ফেরার পথ থেকে মুখে চাপ দিয়ে অপহরণ করে তার বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে।
এঘটনায় ওই কলেজ শিক্ষার্থীর চাচা মতলব দক্ষিণ থানায় ৯ অক্টোবর মামলা করেন।
মামলাটি মতলব দক্ষিণ থানার তৎকালীন এসআই মো: জামাল উদ্দিন তদন্ত করে ২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
সরকার পক্ষের পিপি শিরিন সুলতানা মুক্তা বলেন, প্রায় ১২ বছর মামলাটি চলমান অবস্থায় আদালত ৪ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ করেন। আসামীর অনপুস্থিতি স্বাক্ষ্য প্রমাণ ও মামলা নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে বিচারক এই রায় প্রদান করেন।
সরকার পক্ষের এপিপি ছিলেন আবদুল কাদের খান। আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো: কামাল হোসেন।




