ষ্টাফ রিপোটার ॥ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া শেখ হাসিনা ও জমায়াতসহ সকলে এরশাদকে বৈধতা দিয়েছিল। অনেক আগে থেকেই জামায়াতের সাথে শেখ হাসিনার আঁতাত ছিল। ওইসময় জামায়াত-আওয়ামী লীগ একত্রে আতাঁত করে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ১৭৩ দিন হরতাল পালন করেছিল।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠে চাঁদপুর সদর উপজেলা ও পৌর বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, শহীদের সাথে বেঈমানি করেছেন বঙ্গবন্ধু। আর আমরা গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করেছি। সেই গণতন্ত্রের সাথে বেঈমানি করেছে শেখ মজিব। তার পরিণতি ১৫ আগস্ট মানুষ দেখেছে। সেটি মানুষ গণঅভ্যুত্থান হিসেবে মেনে নিয়েছে। এরপর জিয়াউর রহমান যেই আওয়ামী লীগকে পুনরুদ্ধার করেছে, শেখ হাসিনা সেখানে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে।
বুলু নিজ দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এমন কোন কর্ম আপনারা করবেন না। যেন আপনাদের সেই কর্মের কারণে মানুষ বিএনপিকে এবং আপনার নেতাকে গালি দেয়। তিনি বলেন, আপনারা জানেন ১৯৯১ সালে বেগম খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন তখন তিনি কিছু কাজ করেছিলেন যা জাতীর জন্য মাইলফলক। তিনি উপবৃত্তির ব্যবস্থা, বিনা মূল্যে বই দেয়া, বিনা বেতনে পড়াশোনার ব্যবস্থা করেছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া নারী শিক্ষার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তিনি সেদিন ভ্যাটের পথা চালু করেছিলেন। তিনি যদি সেদিন ভ্যাটের ব্যবস্থা না করতেন তাহলে আজ সরকার কর্মচারীদের বেতন দিতে পারতো না।
অপরদিকে সম্মেলনের মাধ্যমে পৌর বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হন আকতার হোসেন মাঝি, সাধারণ সম্পাদক এড. হারুন অর রশিদ ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি হন শাহজালাল মিশন ও সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী।
চাঁদপুর পৌর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন মাঝির সভাপতিত্বে উদ্বোধকের বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মোস্তাক মিয়া ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. সলিম উল্লাহ সেলিম। সম্মেলনে জেলা ও উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মী ও কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন। শেষে সন্ধ্যায় স্থানীয় শিল্পীরা মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।




