শনিবার ৮ই নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ দুপুর ১:০৪

29.4 C
Bangladesh
শনিবার, নভেম্বর ৮, ২০২৫
spot_imgspot_img

শনিবার ৮ই নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ২৩শে কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ১৬ই জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি ১৬ই জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি দুপুর ১:০৪

শাহ্ মাহমুদপুর ইউনিয়নে নারীর মিথ্যা জালে যুবককে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: চাঁদপুর সদর উপজেলার ৪ নং শাহ মাহমুদপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড ভড়ঙ্গারচর গ্রামে নারীর সাজানো মিথ্যা জালে যুবককে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনটি অভিযোগ যুবক ও তার পরিবারের।

অভিযোগসূত্রে জানা যায়, ওই নারী ভড়ঙ্গারচর গ্রামের হাওলাদার বাড়ির মৃত লিটন হাওলাদারের মেয়ে নুপুর আক্তার (৩৫)। অপরদিকে ওই যুবক একই গ্রামের মল্লিক বাড়ির মোঃ মোস্তফা মল্লিকের ছেলে সোহরাব মল্লিক (১৯)।

জানা যায়, দুই আড়াই মাস পূর্বে ওই যুবকের বিবাহের জন্য পারিবারিকভাবে বিভিন্ন দিকে পাত্রী খোঁজ করতেছিল। খোঁজ করার একপর্যায়ে তাদের চাহিদা অনুযায়ী পাত্রী পেলে বিবাহের দিন তারিখ ধার্য হবে, ঠিক ওই মুহূর্তে নুপুর আক্তার তার সাথে সোহরাব মল্লিকের প্রেম সম্পর্ক রয়েছে বলে তাকে বিবাহ করার দাবি জানায়। পরবরর্তীতে এ বিষয়ে  জানাজানি হলে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করা হয়।

এ বিষয়ে সোহরাবের বাবার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সোহরাবের বিয়ের বিষয়ে নুপুরের নানা আলফু মল্লিক মেয়ে দেখার জন্য আমাকে বলেন। আমি তখন ওনাকে মেয়ে দেখার জন্য অনুমতি দেই। এই সুবাদে তিনি কয়েক জায়গায় সম্বন্ধ দেখে। কোথায়ও সম্বন্ধ না করাতে পেরে এক পর্যায়ে আলফু মল্লিক আমাদের না জানিয়ে সোহরাবকে  তার নাতনি নুপুরকে বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব করে। আমরা জানতে পেরে এ প্রস্তাবে রাজি হই না। পরবর্তীতে স্থানীয় মাধ্যমে তারা ৬ সতাংশ জায়গা ছেলের নামে সাব কবলা রেজিস্ট্রি করে দিবে বলে আবারও প্রস্তাব করে। এ প্রস্তাবও না মানলে তারা আমার ছেলে সোহরাবের সাথে নুপুরের সম্পর্ক আছে বলে বিভিন্ন লোকের কাছে জানায়। আসলে ওই মেয়ের সাথে আমার ছেলের কোনো সম্পর্ক নাই।

তিনি জানান, নুপুর আমাকে ও আমার ছেলেকে বিবাদী করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে লেখা ছিল আমার ছেলে বিভিন্ন সময়ে নুপুরের কাছ থেকে ৭৫ হাজার টাকা নিয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলে তাকে বিভিন্ন ভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

এছাড়াও তিনি জানান, নুপুর সম্পর্কে সোহরাবের  ভাগনী হয়। তাছাড়া নুপুরের বয়স পঁয়ত্রিশ-ছয়ত্রিশ আর আমার ছেলের বয়স আঠারো-ঊনিশ হবে। নুপুরের আগে আরো দুটি বিয়ে হয়েছে। ওই সংসারের তার দুইটি সন্তানও রয়েছে। তাহলে আমার অবিবাহিত ছেলের সাথে ওই মেয়ের কিভাবে বিয়ে হবে?

মেয়ের কাছ থেকে জানা যায়, আমার সাথে দীর্ঘদিন তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সুবাদে সে আমাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এই সম্পর্কের জের ধরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে আমার কাছ থেকে ৭৫ হাজার টাকা নেয়।

স্থানীয়দের থেকে জানা যায়, ছেলের বাবা মোস্তফা মল্লিক নুপুরের নানা আলফু মল্লিককে ছেলেকে বিয়ে করানোর জন্য পাত্রী দেখার দায়িত্ব দেন। মেয়ের পক্ষের কি অভিযোগ আপনারা জানতে পারছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তারা জানান, সোহরাব নুপুরকে বিয়ে করবে বলে বিভিন্ন লোককে জানানোর কারনে তাদের মান সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। এজন্য এই ছেলের কাছেই তাদের মেয়েকে বিয়ে দিবে। 

তাছাড়া এই ছেলেটার মাথায় একটু সমস্যা আছে। একেক সময় একেক ধরনের কথা বলে। এমনটাই অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা আরো জানান, মেয়ের পক্ষ ইউনিয়ন পরিষদে একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু পরবর্তীতে তারা নিজেরাই হাজির হয় না।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান নান্টু পাটোয়ারী বলেন, নুপুর আক্তার আমার এখানে সোহরাব মল্লিককে বিবাদী করে একটি অভিযোগ দায়ের করে। আমি বিবাদীদেরকে নুটিশ করে বসার একটি তারিখ নির্ধারণ করি। ওই তারিখে বিবাদীগন আসলেও বাদী পক্ষের কেহ আসেনি। পরবর্তীতে আরেকটি তারিখ নির্ধারণ করলেও বাদী পক্ষ উপস্থিত হয়নি। আমি মনে করি বাদী পক্ষের অভিযোগে অসত্যতা রয়েছে।

এ বিষয়ে সোহরাবের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

2,181FansLike
3,912FollowersFollow
22,700SubscribersSubscribe

-advertisement-

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ সংবাদ