স্টাফ রিপোর্টার : আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে চাঁদপুরে চলছে দেশীয় পদ্ধতিতে কোরবানির পশু মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়া। খামারিরা বলছেন, দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ করতে খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকে লোকসান আতঙ্কে রয়েছেন। তবে কোন প্রকার রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই দেশীয় পদ্ধতিতে কোরবানির পশু মোটাতাজাকরণ তদারকির কথা জানালেন জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এবার চাঁদপুরে কোরবানির জন্য ছোট, বড় ও মাঝারি মিলিয়ে ২১হাজার ১শ’ ৬১টি খামারে ৭৫ হাজার পশু প্রস্তুত রয়েছে। কোরবানীর চাহিদা রয়েছে প্রায় ৭১হাজার। জেলার চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত পশু অন্যত্র সরবরাহও করা যাবে। খামার শ্রমিক আবুল হোসেন ও রাজু বলেন, চাঁদপুরের ৮উপজেলায় দেশীয় পদ্ধতিতে কোরবানির পশু মোটাতাজাকরণ করছেন ছোট, মাঝারি ও বড় খামারিরা। বর্তমানে গো খাদ্যের দাম বৃদ্ধি ও বিদেশ থেকে পশু আমদানির ফলে অনেকে লোকসান আতঙ্কে রয়েছেন। তবে পূর্বের লোকসান পুষিয়ে আনতে দিনরাত পরিশ্রম করছেন খামার কর্মচারীরা।
খামার মালিক শাহাবুদ্দিন উকিল ও জাহাঙ্গীর আলম গো খাদ্যের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি ও বিদেশ থেকে গরু আমদানি করা হলে এবারও লোকসানের আতংকে রয়েছি। দেশি খামারিদের স্বার্থ রক্ষার্থে বিদেশী পশু আমদানি বন্ধের পাশাপাশি গো খাদ্যের দাম কমানোর দাবি জানান।
চাঁদপুর জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো: বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, চাঁদপুরে খামারিরা যাতে কোন প্রকার ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার ছাড়াই কোরবানির পশু মোটাতাজাকরন করতে পারে। সেলক্ষ্যে প্রতিনিয়ত ফার্মেসি গুলোতে মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করা হয়। এমনকি খামারিদের সচেতনতামুলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।




