মতলব উত্তর প্রতিনিধি: একাধিক গরম কাপড়, হাত মোজা, কানটুপি, মুখে মাস্ক পরে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে মানুষ। তবুও যেন শীতকে হার মানানো দায়। শুধুমাত্র আগুনের তাপেই যেন মেলে স্বস্তি। সারা দেশে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ার পাশাপাশি সূর্যের দেখা মিললেও কমেনি শীতের তীব্রতা। তাই তীব্র ঠান্ডাকে সঙ্গী করেই সারতে হচ্ছে হার মেনেছে শীতের পোশাক, আগুনের তাপেই যেন স্বস্তি
একাধিক গরম কাপড়, হাত মোজা, কানটুপি, মুখে মাস্ক পরে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে মানুষ। তবুও যেন শীতকে হার মানানো দায়। শুধুমাত্র আগুনের তাপেই যেন মেলে স্বস্তি। সারা দেশে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ার পাশাপাশি সূর্যের দেখা মিললেও কমেনি শীতের তীব্রতা। তাই তীব্র ঠান্ডাকে সঙ্গী করেই সারতে হচ্ছে দিনের সব কর্মকাণ্ড। সব কর্মকাণ্ড।
শুক্রবার (২ জানুয়ারি) সকালে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর বাজারে টায়ার, কাগজ, কাঠ জ্বালিয়ে দলবেঁধে ৮ থেকে ১০ জনকে আগুন পোহাতে দেখা যায়। গত তিন দিনের তীব্র শীতে নাজেহাল হয়ে পড়েছে এ এলাকার জনজীবন।
শ্রমিক সফিকুর রহমান বলেন, গত তিন দিন ধরে একই রকম ঠান্ডা। দুপুরেও সূর্যের দেখা নেই। আজকে তাপমাত্রা অনেক কম। এমন শীতে গাড়ি চালানো কষ্টসাধ্য।
কৃষক আব্দুর রহমান বলেন, অতিরিক্ত শীত ও কুয়াশার কারণে জমিতে ফসলের পরিচর্যা করতে যেতে পারছিনা। এত ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। অন্যদিকে আমার গোয়ালের গরুর খাদ্য সংগ্রহ করতে কষ্ট হচ্ছে।
রিকশাচালক মোতালেব মিয়া বলেন, গত কয়েক দিনে যা আয় হয়েছে তাতে রিকশার ভাড়াও উঠেনি। এমন ঠান্ডায় রিকশায় কোনো যাত্রী উঠতে চায় না, বাতাস লাগে তাই।
এদিকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির ফলে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপও বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাচি-কাশিসহ কোল্ড ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। শীতকালীন রোগবালাই থেকে রক্ষা পেতে গরম পানি পান করাসহ গরম কাপড় ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মোবারক হোসেন মামুন বলেন, শীতজনিত রোগে আক্রান্তর সংখ্যা বাড়ছে। শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। রোগীর চাপ থাকলেও হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।




