স্টাফ রিপোর্টার: চাঁদপুরে সারাদেশের ন্যায় ঔষধ ব্যবসায়ীদের ৪ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগ্রিস্টস সমিতি জেলা শাখার আয়োজনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকালে শহরের বায়তুল আমিন জামে মসজিদ সংলগ্ন শপথ চত্ত্বর এলাকায় এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে কেন্দ্রীয় ঔষধ সমিতির কর্মসূচি অনুযায়ী ৪ দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চাঁদপুর জেলা শহর ছাড়াও কচুয়া, ফরিদগঞ্জ, মতলব, হাজীগঞ্জ, শাহারাস্তি সহ ৭ টি উপজেলায় কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
৪ দফা দাবীর মধ্যে রয়েছে, বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানি কর্তৃক ঔষধ বিক্রি কমিশন বৃদ্ধি করা, ঔষধ ব্যবসায়ীদের দোকানে থাকা মেয়াদ উত্তির্ণ ঔষধ দ্রুত সময়ের মধ্যে ফেরৎ নেওয়া এবং তা প্রতিস্থাপন করা, ড্রাগ লাইসেন্স বিহীন ফার্মেসীতে ঔষধ কোম্পানি কর্তৃক ঔষধ সরবরাহ বন্ধ করা ও সকল ঔষধের মূল্য সরকার কর্তৃক নির্ধারণ করতে হবে।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগ্রিস্ট সমিতি চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মোস্তফা রুহুল আনোয়ার, সিনিয়র সহ-সভাপতি এবিএম নজরুল আমিন সাজু, সহ-সভাপতি বাবু শুভাশ সাহা, মনির হোসেন গাজী, ফরিদগঞ্জের সভাপতি সমির চন্দ্র দে, সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার পাঠান টিপু, জেলা সদস্য মো: সৈয়দ হোসেন গাজী, শাওন চৌধুরী, বিমল সেন সহ সকল পর্যায়ের কেমিস্টগণ।
বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানিগুলো ঔষধ ব্যবসায়ীদেরকে যে ১২/১৩ পার্সেন্ট কমিশন দেওয়া হয় তার মধ্যে তারা ক্রেতাকে ১০ পার্সেন্ট ছেড়ে দেওয়ার পর তাদের হাতে ২/৩ পার্সেন্ট কমিশন থাকে। তা দিয়ে তারা দোকান ভাড়া কর্মচারী বেতন সহ বিভিন্ন খরচ দিয়ে তাদের অতিকষ্টে জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। তারা তাদের সন্তানদের নিত্যদিনের ভরণ পোষণ ও লেখাপড়া করাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় বলে জানান।
তারা জনান, ঔষধ কোম্পানি বিগত বছরে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ ফেরৎ নিলেও বর্তমানে তারা তা ফেরৎ নিচ্ছে না। এতে করে তাদের লোকশন গুনতে হয়।
তাই তারা মানববন্ধনে প্রতিবাদ করেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ দ্রুত সময়ের মধ্যে ফেরৎ নিতে হবে এবং তাদেরকে সেই ঔষধ প্রতিস্থাপন করতে হবে।
এছাড়া শহর ও গ্রামগঞ্জে যেখানে সেখানে ঔষধ ফার্মেসী গড়ে উঠেছে, যাদের কোন ড্রাগ লাইসেন্স নেই। তাই ড্রাগ লাইসেন্স বিহীন ফার্মেসীতে ঔষধ কোম্পানি কর্তৃক ঔষধ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হবে।
অপরদিকে ব্যবসায়ীরা বলেন, বর্তমানে ঔষধের মূল্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে ক্রেতারা ঔষধ কিনতে পারছে না। তাই ব্যবসায়ীদের দাবী অতিসত্তর সকল ঔষধের মূল্য সরকার কর্তৃক নির্ধারণ করতে হবে। অন্যথায় তারা কঠোর কর্মসূচীর দাবী জানান। তারা আরও বলেন, আমরা দিন শেষে রাতে পকেট শূন্য হয়ে বাড়ি যেতে হয়, আমাদের সন্তানদের জন্য আমরা কোন কিছু করতে পারিনা, আমাদের নিরুপায় হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। অন্য পেশার লোকেরা স্কুটার দিয়ে চলাফেরা করে, সেক্ষেত্রে আমাদের জীবন যাপন করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।




