ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি: গেল বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে আজাদ সরকার ও ফরিদগঞ্জে শাহাদাত হোসেন শহীদ হন। এই দুই শহীদের স্মরণে নির্মিত পৃথক দুটি স্মৃতিফলক উন্মোচন করা হয়েছে।
সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে হাজীগঞ্জ উপজেলার টোরাগড় এলাকায় শহীদ আজাদ সরকার স্মৃতিফলক উন্মোচন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইবনে আল জাহিদ হোসেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী মো: আজিজুল হক, শহীদ আজাদের ছেলে আহমেদ কবির হিমেল সরকার, যুবদল নেতা মিজান সহ এলাকাবাসী।
হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, আজাদের মত প্রতিবাদী মানুষদের স্মৃতি জাতির চেতনায় বাঁচিয়ে রাখা উচিত। তিনি শুধু একজন ব্যক্তিই ছিলেন না, একটি আদর্শের প্রতীকও ছিলেন।
শহীদের ছেলে হিমেল সরকার বলেন, আমার বাবাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলেও আজ তাঁর আত্মত্যাগ স্বীকৃতি পেয়েছে। আমাদের পরিবারের জন্য এটি এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
অপরদিকে একই সময় শাহীদ শাহাদাত হোসেন স্মরণে ফরিদগঞ্জ থানা মোড়ে স্মৃতিফলক উন্মোচন করেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ আর এম জাহিদ হাসান, থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ্ আলম, প্রেসক্লাব সভাপতি মামুনুর রশিদ পাঠান, শহীদ শাহাদাত এর মা শিরোতাজ বেগম ও নানি মমতাজ বেগম সহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া বলেন, আমরা আজ শহীদ শাহাদাত হোসেন এর স্মৃতিকে চিরস্মরণীয় করে রাখার একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস গ্রহণ করেছি। শহীদরা জাতির বাতিঘর। তাঁদের আত্মত্যাগে নতুন বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে। শহীদ শাহাদাত হোসেন আন্দোলনে একজন সাহসী সন্তান। তাঁর এই আত্মত্যাগের মর্যাদা দিতে পারলেই আমাদের এই প্রয়াস সার্থক হবে।
এসময় অনুষ্ঠানটি এক আবেগঘন পরিবেশে সম্পন্ন হয়। শাহাদাতের মা স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, আজকের এই দিনটি আমাদের জীবনের এক স্মরণীয় দিন। আশা করি আমার ছেলের আত্মত্যাগ কেউ ভুলে যাবে না।




