ষ্টাফ রিপোটার ॥ চাঁদপুর সদরের মেঘনা উপকূলীয় এলাকায় বর্ষায় পানি বৃদ্ধি ও ঢেউয়ের কারণে ভাঙন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সদর উপজেলার তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের আনন্দ বাজার জেলে পল্লী এলাকায় কিছু ফসলি জমি, বসত ভিটাসহ বিভিন্ন স্থাপনা এখন ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) দুপুরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন সদরের আনন্দবাজার এলাকার জেলে পল্লীসহ মেঘনা উপকূলীয় বিভিন্ন ভাঙন প্রবণ এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলেন। তাদের খোঁজখবর নেন এবং সমস্যার কথা শুনেন। নদী ভাঙনের ভয়াবহতায় প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলো প্রশাসনের আশ্বাসে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন। তারা দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পুনর্বাসনের দাবি জানান।
স্থানীয় বাসিন্দা এড. জসীম মেহেদী বলেন, বর্ষা মৌসুম এলেই নদী পাড়ের মানুষের ভাঙন আতঙ্কে রাত কাটাতে হয়। বহু পরিবার বসতবাড়ি হারিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। স্থায়ী সমাধান ছাড়া নদীভাঙন ঠেকানো সম্ভব নয়। আমাদের প্রত্যাশা এখানে সহসাই স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হবে।
পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, ভাঙন প্রতিরোধে অস্থায়ী নয়, স্থায়ী সমাধানের জন্য কার্যকর প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। সরকার এবিষয়ে সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করছে এবং সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষায় যেকোন ব্যবস্থা নেয়া হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল হক, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাপ্পী দত্ত রনি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা।




