ষ্টাফ রিপোটার । চাঁদপুরে “শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম” এর আওতায় টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন নিয়ে জেলা পর্যায়ের পরামর্শমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ এরশাদ উদ্দিন। জেলা তথ্য অফিসার তপন ব্যপারীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, সিভিল সার্জন ডা: মোহাম্মদ নূর আলম দীন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন (ভার্চুয়ালি) গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রচার ও সমন্বয়) ডালিয়া ইয়াসমিন। তিনি বলেন, এই টিকা সরকার বিদেশ থেকে কিনে এনেছে। এটি বিনামূল্যের নয়। যে কারণে এই টিকা খারাপ হওয়ার কথা নয়। গনমাধ্যম হচ্ছে সমাজের আয়না। আপনারা যদি গুজবের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালান তাহলে শিশুরা এই টিকা নেয়ায় আগ্রহী থাকবে। আশা করি সরকারের এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে গুজব প্রতিরোধ ও টাইফয়েড টিকার গুরুত্ব তুলে ধরে গণমাধ্যম ভূমিকা রাখবে।
টাইফয়েড টিকা কার্যক্রমের টেকনিক্যাল প্রেজেন্টেশন প্রদর্শন করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (এমওসিএস) ডা: মো: সাখাওয়াত হোসেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, প্রেসক্লাব সভাপতি রহিম বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক কাদের পলাশ। ইউনিসেফ বাংলাদেশ-এর আর্থিক সহায়তায় সারাদেশে শুরু হচ্ছে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশু-কিশোরদের মাঝে টাইফয়েড প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও টিকাদান নিশ্চিত করা হবে। টাইফয়েডের ভয়াবহতা রোধে সরকারের এই উদ্যোগকে মাঠপর্যায়ে সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা একসাথে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। কর্মশালায় জেলার ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জানানো হয়, ১২ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত (শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন বাদে) ১৮ কর্ম দিবসে জেলায় টাইফয়েড টিকাদান প্রদানে ৮ লাখ ৫হাজার ২শ’ ৪৫ জন শিশুকে টার্গেট করা হয়েছে। তন্মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী হচ্ছে ৫ লাখ ৪১ হাজার ৮শ’ ৪৪জন। ৯ মাস থেকে ১৫ মাস বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত শিশুর সংখ্যা ২ লাখ ৬৩ হাজার ৪শ’ ১জন। ইতোমধ্যে ৪১ ভাগ শিশু অনলাইনে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছে।
এছাড়াও টিকা কার্যক্রমে অন্তর্ভূক্ত প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩ হাজার ৭শ’ ৫৮টি। কমিউনিটি টিকা কেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ৪শ’ ২৪টি। টিকাদানকারী টিমের সংখ্যা ৩ শ’ ১৩টি। সর্বমোট টিকা প্রদানকারী ৬শ’ ১৬জন এবং স্বেচ্ছাসেবী ৯শ’ ১৯জন। সর্বমোট প্রথম সারির তদারককারীর সংখ্যা ৩শ’ ৩জন।




