মহসীন আলম: বিভিন্ন অঙ্গনে একজন সংগ্রামী ও সাহসী মানুষের নাম স্বপন মাহমুদ। সংসার, জনসেবা, রাজনীতি ও ব্যবসায় সময় দেওয়ার মাধ্যমে অতিবাহিত হয় তার সংগ্রামী জীবন। এগুলো সামলাতে দিনরাতের প্রায় ১৬/১৭ ঘন্টা ব্যয় করেন তিনি। দোষেগুনে মানুষ হলেও স্বপন মাহমুদের সংগ্রামী জীবনে গুনের ভান্ডার বেশ সমৃদ্ধ। তার এই সংগ্রামী জীবনের গতিধারা সম্পর্কে অবগত আছেন চাঁদপুর জেলার সর্বস্তরের মানুষ। এজন্য তার জনপ্রিয়তাও অনেক বেশি। আবার অনেকের মাথা ব্যথারও কারন তিনি। জনপ্রতিনিধি হিসেবে যেমন হয়েছেন শ্রেষ্ঠ, রাজনৈতিক অঙ্গনেও তিনি অবস্থান করে নিয়েছেন টপ লেভেলে।
বিভিন্ন তথ্য মতে জানা যায়, স্বপন মাহমুদ একজন দৃঢ়চেতনা ও সংগ্রামী রাজনীতিবিদ। যিনি ১৯৯৬ সালে ছাত্রদলের রাজনীতি থেকে যুবদলের মাধ্যমে সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত হন। সেই বছরই তিনি রেলওয়ে আন্দোলনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ২৭ দিন কারাবরণ করেন। যা ছিল তার রাজনৈতিক সংগ্রামের সূচনা। ১৯৯৮ সালে তিনি ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং পরবর্তীতে চাঁদপুর সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জনপ্রিয় নেতা হিসেবে ২০১১ সালে তিনি বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে চাঁদপুর জেলা শ্রেষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তিনি একের পর এক মামলা, হামলা এবং বহিষ্কারের শিকার হন। মহামায়া বাজার মসজিদের পুকুর দখলের প্রতিবাদ করায় তৎকালীন পরাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপির রোষানলে পড়েন।
২০১৬ সালে এক রাজনৈতিক গণমিছিলে বিজিবির গুলিতে যুবদল নেতা ফারুক পাটওয়ারী গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন, কিন্তু এই হত্যার মিথ্যা মামলায় তিনি হয়েছেন ১নং আসামী।
২০১৭ সালে তাকে ১নং ক্রসফায়ার তালিকাভুক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ১০ দিনের রিমান্ডে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে ৩ মাস কারাভোগ করার পর শর্তসাপেক্ষে জামিনে মুক্ত হন। ২০১৮ সালে তৎকালীন আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের অন্যায়ভাবে জেলে থাকা অবস্থায় জনগণের বিপুল ভোটে পুণরায় ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। চাঁদপুর জেলার মধ্যে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার অন্যায়ভাবে পেট্টল বোমা, গাড়ী পোড়ানো, হত্যা মামলাসহ বিভিন্নভাবে ২৭টি মামলায় অর্ন্তভুক্ত করেন এবং তিনি বার বার কারাবরন করেন। এরপর তিনি ২০১৯ সালে শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি এবং চাঁদপুর সদর থানা বিএনপি’র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পান। স্বাস্থ্যসেবা, পরিবার পরিকল্পনা ও সিসি ক্লিনিক কার্যক্রমে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। যার কারনে ২০২০ সালে আবারো তিনি চাঁদপুর জেলার ‘শ্রেষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান’ নির্বাচিত হন।
স্বপন মাহমুদ একজন সংসারপ্রেমী মানুষ। তার পরিবারে এক স্ত্রী, দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তান রয়েছে। একমাত্র পুত্র সন্তান রয়েছে প্রবাসে। গত ১৭ বছরে রাজনৈতিক কারনে ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে তিনি তার পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে রাজনৈতিক মামলা পরিচালনা করেন এবং বর্তমানে ভাড়াবাসায় বসবাস করছেন। তিনি জানান, ৫ আগষ্ট ২০২৪ সালের পর থেকে জননেতা শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক ভাই এর নির্দেশনায় ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নবাসীর পাশে থেকে জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত সুন্দর সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে আসছেন স্বপন মাহমুদ সবসময় জনগণের পাশে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন ইনশাআল্লাহ। অন্যায়ের সঙ্গে কখনো আপোষ করেনি এবং করবে না। তিনি তার জীবন জনগণের জন্য উৎসর্গ করে আসছেন বলে জানান। তিনি বলেন, ‘রাজনীতি’ আপনার আমার সকলের গণতান্ত্রিক অধিকার। প্রতিযোগিতা-প্রতিদ্বন্ধিতা এর অবিচ্ছেদ্য অংশ। সমালোচনা রাজনীতিকে সম্মৃদ্ধ করে। কিন্তু উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কারো রাজনীতি, পারিবারিক জীবন ও ব্যক্তিত্বকে হেয় করতে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগে অভিযুক্ত করার আগে নিজের যোগ্যতার পরিমাপ করুন। পাশাপাশি জাতীয়তাবাদী দলের একজন কর্মী হিসেবে আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়ন ও সংগঠনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে দল ও দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের উপর ভিত্তিহীন মিথ্যাচার জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে। আমরা গণতন্ত্র রক্ষায় সংগ্রাম করেছি, দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় যা দরকার তাই করবো ইনশাআল্লাহ!
